Wednesday, July 23, 2025

পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় ভাশুরকে খুন করে লাশ গুম

আরও পড়ুন

পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় ভাশুরকে খুন করে লাশ গুম

কুমিল্লার মুরাদনগরে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় ভাশুরকে খুন করে মাটিচাপা দিয়ে লাশ গুম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ঘটনার দুদিন পর পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে মুরাদনগর উপজেলার ইউসুফনগর গ্রামের অভিযুক্ত প্রেমিক ইব্রাহিমের বসতঘরের মাটির নিচ থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মনির হোসেন (৪০) উপজেলা সদর ইউনিয়নের ইউসুফনগর গ্রামের মৃত আব্দুল মতিনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  ফেসবুকে হাসনাত আব্দুল্লাহকে হুমকি, যুবক আটক

অভিযুক্ত শাহিদা আক্তার (২২) নিহত মনিরের ছোট ভাই তাজুল ইসলামের স্ত্রী। প্রেমিক ইব্রাহিম (২০) একই গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, নিহত মনিরের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী শাহিদা আক্তারের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ায় ইব্রাহিম। বিষয়টি জানতে পেরে ১৫ দিন আগে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী শাহিদা আক্তারকে ঘরোয়াভাবে শাসন করে ভাশুর মনির। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাহিদা আক্তার ও তার প্রেমিক ইব্রাহিম সিদ্ধান্ত নেয় ভাশুর মনিরকে মেরে ফেলার। তাদের সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে এশার নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার সময় মনিরকে খুন করে প্রেমিক ইব্রাহিম।

আরও পড়ুনঃ  চবি ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সেক্রেটারি পারভেজ

এরপর লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ইব্রাহিমের বসতঘরের নিয়ে মাটিচাপা দেওয়া হয়। এই ঘটনা দেখে ফেলেন ইব্রাহিমের মা আমেনা বেগম। এ বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে ইব্রাহিম তার মা আমেনা বেগমকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। প্রাণনাশের ভয়ে ঘটনার ২দিন মুখ বন্ধ রাখলেও বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয়দের চাপে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন ইব্রাহিমের মা আমেনা বেগম। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ইব্রাহিমের বসতঘরের মাটির নিচে পুঁতে রাখা মনিরের লাশ উদ্ধার করেন এলাকাবাসী।

খবর পেয়ে মুরাদনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মনিরের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাহিদা আক্তার, প্রেমিক ইব্রাহিম ও ইব্রাহিমের মা আমেনা বেগমকে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা শাহিদা আক্তার ও ইব্রাহিমের বাড়িঘর ভাঙচুর করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ, র‍্যাব ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুনঃ  যুবদল নেতার নেতৃত্বে হোটেলে হামলা, নারীদের লাঞ্ছিত ও লুটপাটের অভিযোগ

এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যালে পাঠায়। ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়।’

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ